Advertisement

বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষায় "ফেনী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর" এখন সময়ের দাবী

বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষায় "ফেনী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর" এখন সময়ের দাবী
ভারতের সীমান্তঘেঁষা উত্তর-পূর্ব অঞ্চল মিজোরামের লেংপুই বিমানবন্দর এখন ফুল-স্কেল এয়ারফোর্স বেজে রূপান্তরের পথে। এই বিমানবন্দরটি খাগড়াছড়ি থেকে মাত্র ২৪ মাইলফেনী থেকে মাত্র ৯৬ মাইল দূরে। অর্থাৎ, বাংলাদেশ সীমান্তের মাত্র হাতছোঁয়া দূরত্বে ভারত Su-30MKI, হেলিকপ্টার ও র‍্যাপিড ডেপ্লয়মেন্ট ইউনিট মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
একইসাথে পশ্চিমবঙ্গের পানাগড় এয়ারফোর্স স্টেশন—যা যশোর সীমান্তের মাত্র ১২০ কিলোমিটার পশ্চিমে—সেখানেও বড় আকারে মেরামত ও আধুনিকীকরণ চলছে। নতুন ২৬মি × ৩১মি শেড ও ট্যাক্সিওয়ে যুক্ত হচ্ছে—যেখানে সু-৩০ সহ মডার্ন ফাইটার জেট পরিচালনার সক্ষমতা তৈরি হচ্ছে।

⚠️ এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পদক্ষেপ জরুরি নয়, বরং জরুরীতম।

বাংলাদেশকে এখনই বুঝতে হবে—পূর্ব ও পশ্চিম ফ্রন্ট উভয়দিক থেকেই প্রতিরক্ষা চাপ বাড়ছে। ভারত তার সীমান্তবর্তী এয়ারবেসগুলোকে দ্রুত আপগ্রেড করছে, যার প্রভাব সরাসরি পড়বে বাংলাদেশের আকাশসীমা ও সিকিউরিটি রেসপন্স টাইমে।

সামরিক ও ভৌগোলিক দিক থেকে “ফেনী” কেন শ্রেষ্ঠতম বিকল্প?

  1. ফেনী যানজটমুক্ত শহর—বিমানবন্দরের জন্য পারফেক্ট ট্রাফিক কন্ডিশন।
  2. মধ্যবিন্দু অবস্থান—চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা—সব জেলার জন্য কেন্দ্রীয়।
  3. সরাসরি সীমান্ত ও বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত সংযোগযোগ্য, অর্থাৎ ট্রুপ/জেট মোতায়েনের জন্য কৌশলগতভাবে সুবিধাজনক।
  4. পুরোনো যুদ্ধকালীন রানওয়ে থাকা মানে, সেখানে দ্রুত ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়ন সম্ভব।
  5. ফেনী থেকে মাত্র ৯৬ কিমি দূরেই Lengpui—যেখানে ভারত এখন সামরিক ভিত্তি তৈরি করছে।

ফেনী-শমসেরনগর-কুমিল্লা ঘাঁটি = দক্ষিণ সীমান্ত প্রতিরক্ষা ত্রিভুজ

যদি ফেনীতে একটি আন্তর্জাতিক + সামরিক বিমানঘাঁটি, কুমিল্লায় র‍্যাডার ও ড্রোন অপারেশন ইউনিট এবং শমসেরনগরে ইন্টেলিজেন্স ও রিফুয়েলিং ফ্যাসিলিটি তৈরি করা হয়—তাহলে বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে একটি এয়ার সিকিউরিটি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারবে।

উত্তরাঞ্চলের জন্য প্রস্তাবিত বিমানঘাঁটি উন্নয়নঃ

  • লালমনিরহাট এয়ারবেস = হিমালয় সংলগ্ন নজরদারির জন্য গুরুত্বপূর্ণ
  • ঠাকুরগাঁও ও বগুড়া = পার্বত্য রুট ও পশ্চিম ফ্রন্ট সুরক্ষায় অত্যাবশ্যক

অর্থনৈতিক গুরুত্ব: মিরসরাই ইকোনমিক জোনের পাশে ফেনী ঘাঁটি

ফেনী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি হলে—

  • রপ্তানি পণ্য পরিবহনের সময় ও খরচ কমবে
  • মিরসরাই ইকোনমিক জোনে নিরাপত্তা জোরদার হবে
  • স্থানীয় অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান জাম্প-স্টার্ট হবে

এই মুহূর্তে রাষ্ট্রের করণীয়:

  1. ফেনী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রকল্পকে দ্রুত অনুমোদন দেওয়া
  2. সামরিক-ব্যবহারোপযোগী রাডার, রানওয়ে, হ্যাঙ্গার ও জ্বালানি ডিপো স্থাপন
  3. মিরসরাই অঞ্চলে স্থায়ী সেনানিবাস প্রতিষ্ঠা করা
  4. পূর্ব ও পশ্চিম ফ্রন্টে প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক গঠন করা

ফেনী শুধু একটি শহর নয়, এটি এখন বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক প্রতিরক্ষার গেইটওয়ে।

ভারত যখন সীমান্তজুড়ে এয়ারবেস সাজাচ্ছে, তখন বাংলাদেশের নিরবতা হতে পারে আত্মঘাতী। এখনই সময়, ফেনী বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক ও সামরিক হাব হিসেবে গড়ে তোলার।


আপনার মতামত অনুযায়ী এখন এটাকে আমি অফিসিয়াল প্রস্তাবনা রূপে তৈরি করে দিতে পারি—অথবা আপনি যদি চান, এটাকে টাইপোগ্রাফি পোস্ট, ভিডিও স্ক্রিপ্ট বা তথ্যচিত্রর মত করে বানাতেও পারি। কোন ফর্মে চান এবার?

Post a Comment

0 Comments